ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং

গড় মূলধনি ব্যয়

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং - মূলধন ব্যয় | NCTB BOOK

উপরের পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে আমরা জানলাম যে মূলধনের বিভিন্ন উৎসের ব্যয় বিভিন্ন। যেমন ঋণ মূলধনের ব্যয় একটি, আবার শেয়ার মূলধনের ব্যয় আরেকটি। তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন হবে যে একটি কারবার যখন কিছু ঋণ মূলধন ব্যবহার করে এবং একই সাথে কিছু শেয়ার মূলধন ব্যবহার করে, তখন কারবারের মূলধনি ব্যয় কত? উত্তর হচ্ছে, সবগুলোর গড়। নিম্নের উদাহরণে বিষয়টি আলোচনা করা হলো:

উদাহরণ : একটি কোম্পানির সাধারণ শেয়ার মূলধন ২০০ কোটি টাকা, ঋণ মূলধন ২০০ কোটি টাকা ও অগ্রাধিকার শেয়ার মূলধন ১০০ কোটি টাকা। ঋণকৃত মূলধনের সুদের হার ১০% ও অগ্রাধিকার শেয়ারে লভ্যাংশের হার ৮%। সাধারণ শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ারের বাজারমূল্য যথাক্রমে ২৫৫ টাকা ও ১১০ টাকা। কোম্পানি এ বছর সাধারণ শেয়ার মালিকদের প্রতি শেয়ারে ১৩ টাকা লভ্যাংশ প্রদান করেছে এবং অতীতে কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত লভ্যাংশ ৪% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কর হার ৪০% হলে এই কোম্পানির গড় মূলধনি ব্যয় কত?

সমাধান :

ঋণ মূলধনের ব্যয় = ১০% x (১-কর হার) =১০%×.= ৬%

অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয় = (শেয়ার প্রতি লভ্যাংশ ÷ শেয়ারের বাজারদর) = ৮÷১১০ =৭.২৭%

সাধারণ শেয়ারের ব্যয় =১৩(+.০৪)২৫৫+.০৪=৯.৩০%

এবার কোম্পানিটির সর্বমোট মূলধনে প্রতিটি উৎসের অংশ কত শতাংশ তা বের করতে হবে। বর্ণিত তথ্য থেকে বুঝা যায় যে মোট মূলধনে সাধারণ শেয়ারের অংশ (২০০/৫০০) বা ৪০ শতাংশ, ঋণ মূলধন (২০০/৫০০) বা ৪০ শতাংশ এবং অগ্রাধিকার শেয়ারের অংশ (১০০/৫০০) বা ২০% শতাংশ। এই শতাংশ দিয়ে প্রতিটি উৎসের ব্যয়কে গুণ করে গুণফলের যোগফল করলে কোম্পানির মূলধনের গড় ব্যয় নির্ণয় হবে।

অর্থাৎ, গড় মূলধনি ব্যয় =(.×.)+(×.)+(.২৭×.).৫৭%

Content updated By

আরও দেখুন...

Promotion